সাতক্ষীরার কলারোয়া ও শ্যামনগরের পৃথক ঘটনায় ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ও শনিবার কলারোয়া
উপজেলার কুশোডাঙ্গা ও শ্যামনগরের আবাদ চন্ডিপুর কদমতলা এলাকায় পৃথক এই ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলো, সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার কুশলডাঙ্গা গ্রামের মোসলেম গাজীর ছেলে ইব্রাহিম গাজী (৪৭) ও শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চন্ডিপুর কদমতলা এলাকার মজিবর রহমান মোল্লা (৫৫)।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি সামসুল আরেফিন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতারির ইবাদত বন্দেগির সময়কে বেছে নিয়ে কুশোডাঙ্গা এলাকার মোসলেম গাজীর ছেলে ইব্রাহিম গাজী (৪৭) স্থানীয় সাত বছর বয়সী এক ছোট্ট কন্যা শিশুকে বিশ টাকা ও খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন কক্ষে নিয়ে নির্যাতন করে।
শিশুটির আর্তচিৎকার কান্নায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এবং ইব্রাহিম আটক করে চড় থাপ্পড় দেয়। একই সাথে থানায় জানালে পুলিশ ইব্রাহিমকে আটক করে নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বর্ণনা দেয় এবং দায় স্বীকার করে। শুক্রবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে ইব্রাহিমকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, একই অভিযোগে বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মজিবর রহমান মোল্লাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক মুজিবর রহমান মোল্লাকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ